ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কি? - ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখে আয়

ওয়েব ডেভলপমেন্ট করে আপনি প্রতিমাসে 5 থেকে 6 লক্ষ টাকা আয় করতে পারেন। বর্তমান সময়ে web-development অনেক বড় একটি ফ্রিল্যান্সিং স্কিল। এখনকার সময়ে প্রায় সকল কোম্পানি অনলাইনে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে। তাই প্রতিটি কোম্পানির নিজস্ব ওয়েব সাইট এবং ওয়েব ডেভলপার দরকার। এছাড়াও আপনি নিজে নিজে web-development এবং ওয়েবসাইট মার্কেটিংয়ের কাজ জানলে ঘরে বসেই প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। চলুন আজকে web-development সম্পর্কে সকল বিষয় জেনে আসি। 

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কি? ওয়েব ডেভেলপমেন্টের সম্পূর্ণ গাইডলাইন

মানুষের যেমন ভাষা রয়েছে তেমনি ওয়েবসাইট ডেভেলপ করার জন্য ভাষা তৈরীর দরকার হয়। ওয়েব ডেভলপমেন্ট হচ্ছে একটি ওয়েবসাইটকে সাজান স্ট্রাকচার তৈরি করা, ডিজাইন করা, এবং ইউজার ফ্রেন্ডলি করে তোলা। বর্তমান ফ্রিল্যান্সিং স্কুলগুলোর মধ্যে web-development সবচেয়ে জনপ্রিয় কারণ সকলেরই এখন প্রায় একাধিক ওয়েবসাইট রয়েছে। আপনি ওয়েব ডেভলপার হতে পারলে আপনার নিজের প্রোফাইলে ওয়েবসাইট তৈরি করে আপনি ক্লায়েন্টকে হ্যান্ডেল করতে পারেন। আপনি বিভিন্ন দেশের ক্লায়েন্টকে ওয়েবসাইট তৈরী করে দেওয়ার সার্ভিস প্রদান করতে পারবেন। 

একটি ওয়েবসাইটকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ইন্টারনেটে লাইভ করার কাজ পর্যন্ত সকল কাজকেই ওয়েব ডেভলপমেন্ট এর অন্তর্ভুক্ত। এই স্কুলটি অর্জন করতে হলে আপনাকে অবশ্যই 6 মাস থেকে 2 বছর সময় দিতে হবে। কারো কারো ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম হতে পারে। তবে আপনি যদি সম্পূর্ণ ওয়েব ডেভলপমেন্টের বিষয়গুলো জেনে যান তাহলে আপনি মাসে ঘরে বসে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 


পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার 80 ভাগ মানুষ বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকে। বাংলাদেশ সে সকলের হাতে হাতে স্মার্টফোন রয়েছে। তাই ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট আপনার জন্য বেস্ট একটি স্কিল হতে পারে আগামী ভবিষ্যতের জন্য। এছাড়াও পাশাপাশি আপনি ওয়ার্ডপ্রেস লারাভেল ইত্যাদি স্কিল গুলো অর্জন করে অ্যাডভান্স লেভেলের ডেভেলপার হতে পারেন। 

ওয়েব ডেভলপমেন্ট গাইডলাইন

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কি? ওয়েব ডেভেলপমেন্টের সম্পূর্ণ গাইডলাইন

প্রতিটি বিষয়ে এক্সপার্ট অথবা জানার জন্য অবশ্যই আপনাকে সঠিক গাইডলাইন অনুযায়ী চলতে হবে। ওয়েব ডেভলপমেন্টের ক্ষেত্রে আপনার সুনির্দিষ্ট একটি গাইডলাইন থাকা অতীব প্রয়োজনীয়। আপনি ইন্টারনেটে এরকম গাইডলাইন প্রচুর পরিমাণে পেয়ে যাবেন। আপনি চাইলে কোন এজেন্সি থেকে কোর্স করে নিতে পারেন। একজন দক্ষ ওয়েব ডেভলপার হতে হলে আপনাকে অবশ্যই প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। আপনি কম্পিউটারের ভাষা যতটুকু জানবেন ততো ভালো অ্যাডভান্স লেভেলের ডেভলপার আপনি হতে পারবেন। আপনার মার্কেটের ডিমান্ড অনেক ভাল হবে যদি আপনি সঠিকভাবে প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ গুলো জেনে থাকেন। প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ বলতে পিএইচপি জাভাস্ক্রিপ্ট ইত্যাদি কে বলা হয়। আপনি যদি পরিশ্রম করে প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ গুলো আয়ত্তে আনতে পারেন তাহলে অদূর ভবিষ্যতে আপনার অনেক উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ।

ওয়েব ডেভলপমেন্ট প্রকারভেদ

একজন আদর্শ web-development কয়েকটি প্রকারে ভাগ করা যায়। কাজের ধরন অনুযায়ী web-development কে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। 
  1. ফ্রন্ট এন্ড ওয়েব দেভেলোপের
  2. ব্যাক এন্ড ওয়েব ডেভলপার
  3. টেকনিক্যাল ওয়েব ডেভেলপার

ফ্রন্ট এন্ড ওয়েব ডেভেলপার

যারা ওয়েবসাইটের লে আউট কালার মেনু ফর্ম কন্টাক্ট ফর্ম পেইজ ইত্যাদি যারা তৈরি করে থাকে তাদেরকে মূলত ক্লায়েন্ট সাইট অথবা ফ্রন্ট এন্ড ওয়েব ডেভলপার বলে। একটি ওয়েব সাইট ভিজিটর কিভাবে ওয়েবসাইটটি পড়বে কিভাবে তার কাছে তুলে ধরবে সেগুলোই মূলত এই ডেভেলপার এর কাজ।

ব্যাক এন্ড ওয়েব ডেভেলপার

ওয়েবসাইট এর ভিতরে যত ধরনের কাজ রয়েছে সেগুলো কে সার্ভার সাইড অথবা ব্ল্যাক এন্ড ডেভলপার করে থাকে। ব্যাক এন্ড হচ্ছে একটি ওয়েবসাইটের মূল উৎস। ব্যান্ডের কাজ সকল ওয়েব ডেভলপার মোটামুটি জেনে থাকে। তারা মূলত সাইটকে কোডিং দ্বারা একটি স্ট্রাকচার্ড এতে তৈরি করে থাকে। 

টেকনিক্যাল ওয়েব ডেভলপার

একটা ওয়েবসাইটের সকল ধরনের এরর গুগোল এর কাছে পরিচিত করানো সাইটের তথ্য প্রদান এবং সাইটের সকল রিকোয়ারমেন্ট ফুলফিল করার জন্য যে সকল কাজ হয়ে থাকে, সেগুলো টেকনিক্যাল ডেভলপাররা করে থাকে। বর্তমান বাজারে টেকনিক্যাল ডেভলপাররা অনেক ভালো কাজ করছে। টেকনিক্যাল ডেভলপার হতে হলে অবশ্যই আপনাকে একটা ওয়েবসাইট কিভাবে গুগোল এর রেংক করতে হবে সে বিষয়ে জানতে হবে। একটা ওয়েবসাইটের যদি কোন ধরনের সমস্যা হয় কিভাবে সে সমস্যা সমাধান করতে হবে সে সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে।

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কি? ওয়েব ডেভেলপমেন্টের সম্পূর্ণ গাইডলাইন

ওয়েবসাইট এর প্রTutoria

বর্তমানে ওয়েবসাইটকে প্রধানত দুইটি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট এবং ডায়নামিক ওয়েবসাইট। 

স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট

স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট বলতে মূলত স্থির অথবা স্টিল ওয়েবসাইটকে বোঝায়। মূলত ওয়েবসাইটের কোন কন্টাক্ট কে পরিবর্তন অথবা বাতিল করতে গেলে কোডিং ছাড়া পরিবর্তন করা সম্ভব হয় না এইসব ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে। বর্তমানে স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট খুবই কম রয়েছে।
একনজরে দেখে আসুন স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট

ডায়নামিক ওয়েবসাইট

মূলত পরিবর্তনশীল অথবা পরিবর্তনযোগ্য ওয়েবসাইটগুলোকে ডায়নামিক ওয়েবসাইট বলে। এসব ওয়েবসাইট এর ক্ষেত্রে আপনি খুবই দ্রুত সময়ে যে কোন কিছু পরিবর্তন করতে পারবেন । অর্থাৎ আপনার মন মত সাজাতে পারবেন। বর্তমানে প্রায় সকল ওয়েবসাইটে ডায়নামিক ওয়েবসাইট হয়ে থাকে।

এইচটিএমএল কি?

এইচটিএমএল হচ্ছে একটি মার্কআপ ল্যাংগুয়েজ। এর ফুল মিনিং হচ্ছে হাইপার টেক্সট মার্কআপ ল্যাংগুয়েজ। এই ল্যাঙ্গুয়েজ টি ব্যবহার করে একটি ওয়েবসাইটের আলাদা আলাদা অংশগুলোকে মার্ক করা হয়ে থাকে। যেমন ধরুন : কোনটি হেডিং, কোনটি প্যারাগ্রাফ, কোনটা বোল্ড, কোনটা ইতালিক ইত্যাদি বিষয়গুলো মার্ক করা হয়। 

HTML Tutorial
একটি ওয়েবসাইটের হেডার কোথায় হবে ফুটার কোথায় হবে সাইডবার কোথায় থাকবে এইসব বিষয়গুলোকে আলদা আলদা ভাবে ভাগ করা হয়। এইচটিএমএল খুব সহজ একটি ল্যাঙ্গুয়েজ। যেটি আপনি এক সপ্তাহের মধ্যেই সম্পূর্ণ শিখে ফেলতে পারবেন। তাই দেরি না করে এক্ষুনি শিখে ফেলুন ল্যাঙ্গুয়েজ টি। 

সিএসএস ল্যাঙ্গুয়েজ কি?

সিএসএস কে ওয়েবসাইট ডিজাইনিং টুল হিসেবে ধরা হয়। অর্থাৎ আপনি এইচটিএমএল দারাজে অংশগুলোকে আলাদা আলাদাভাবে মার্ক করেছেন সেগুলো কে সিএসএস এর মাধ্যমে ডিজাইন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে প্রত্যেকটি অংশের রঙ নির্ধারণ করা সাইজ নির্ধারণ করা ছবি যুক্ত করা মাপ পর্ন ইত্যাদি বিষয়গুলো সিএসএস এর মাধ্যমে তৈরি করা হয়ে থাকে। তাই অবশ্যই এই সমস্ত কাস্টমাইজেশনের কাজগুলো করার জন্য সিএসএস ল্যাঙ্গুয়েজ টি আপনাকে অবশ্যই শিখতে হবে।

তো বন্ধুরা কেমন লাগলো আমাদের এই আর্টিকেলটি অবশ্যই জানাবেন। আর আমাদের অন্যান্য আর্টিকেলটি পড়ে আসার আমন্ত্রণ রইল। আমরা নিয়মিত টেক রিলেটেড রিভিউ করে থাকি।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url