এন্টি অক্সিডেন্ট কি এবং কেন? এন্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ কিছু খাবারের তালিকা

আজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় আপনাদের মাঝে তুলে ধরা হবে যে বিষয়ে সবারই জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। আপনি আজ যা যানতে পারবেন -   এন্টি অক্সিডেন্ট কি এবং কেন?, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর কাজ কি? কোনটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট? কেন এন্টি অক্সিডেন্ট প্রয়োজনীয়? এন্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবারের তালিকা ইত্যাদি সকল বিষয়ে জানতে সম্পুর্ন পোস্টটি পড়ুন।

এন্টি এক্সিডেন্টঃ

আজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় আপনাদের মাঝে তুলে ধরা হবে যে বিষয়ে সবারই জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। আপনি আজ যা যানতে পারবেন -  
এন্টি অক্সিডেন্ট কি এবং কেন?, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর কাজ কি? কোনটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট? কেন এন্টি অক্সিডেন্ট প্রয়োজনীয়? এন্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবারের তালিকা ইত্যাদি সকল বিষয়ে জানতে সম্পুর্ন পোস্টটি পড়ুন। 

এন্টি অক্সিডেন্ট কি এবং কেন?

এন্টি অক্সিডেন্ট এই নামটি আজ প্রায় অনেকেরই জানা অথবা শোনা। মেডিকেল গবেষক এবং রসায়নবিদদের কল্যাণে আমরা এন্টি অক্সিডেন্ট এর ব্যবহার জানতে পেরেছি। এন্টি অক্সিডেন্ট কোষের ক্ষয় রোধ করে, ক্যান্সার, হৃদরোগ, আলঝেইমার ডিজিজ, আথ্রাইটিস ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধ করে। আমাদের দেয় সুস্থ ও দীর্ঘ জীবন।

কিন্তু কি এই এন্টি অক্সিডেন্ট?

বিটা-ক্যারোটিন অর্থাৎ ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই- এই তিনে মিলেই বিটা-ক্যারোটিন। বিগত ৫০ বছরেরও অধিক সময় ধরে গবেষণার ফলে বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে, যারা পুষ্টিকর এবং সুষম খাদ্য গ্রহণ করছেন তাদের ক্যান্সার এবং অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস, হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কম। সব থেকে পুষ্টিকর বা সোজা কথায় ভালো খাবারগুলো ভিটামিন এ, সি এবং ই-তে পরিপূর্ণ। বর্তমানে শতকেরও অধিক গবেষণায় একই ফলাফল পাওয়া গেছে।
এন্টি অক্সিডেন্ট গুলো আনস্টেবল অক্সিজেন থেকে যে কোষের ক্ষয় হয় তা রক্ষা করে। এবার আসুন জানা যাক যে, এটা কিভাবে হয়।
শরীরের কোষস্তরে অক্সিজেন ব্যবহৃত হয় এবং খাদ্য উপাদান গুলোকে ভেঙে শরীরে শক্তি যোগায়। শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে অক্সিজেন আমাদের ফুসফুসে প্রবেশ করে এবং সেখান থেকে রক্তের মাধ্যমে শরীরে পৌঁছায়, সাধারণত অক্সিজেন “স্ট্যাবল মডিউল” হিসাবে থাকে। অর্থাৎ এ অরবিটে আট জোড়া ইলেকট্রন থাকে। কিন্তু পরে যখন আনস্টেবল হয়ে যায় তখন বেজোড় সংখ্যা ইলেকট্রন থাকে। এটাকে বলা হয় ফ্রি-রেডিকেল।
বেজোড় ইলেকট্রন চুম্বকের মতো কাজ করে আকর্ষণ করে আশেপাশের কোষকে। সেই আকর্ষিত কোষ প্রোটিন কিংবা ফ্যাট হতে পারে। এভাবে একের পর এক কোষ ধ্বংস হতে থাকে। একে বলা হয় চেইন রিঅ্যাকশন। ফ্রি-রেডিকেল এর জন্যই কোষের ধ্বংস বা Ageing process হয়, হৃদরোগ থেকে নানা ধরনের অসুখের জন্য পর্যন্ত দায়ী এই ফ্রি-রেডিকেল। ফ্রি-রেডিকেল ঠিক তেমনি কোষকে ধ্বংস করে তেমনি এর হাত থেকে রক্ষা করে এন্টি-অক্সিডেন্ট, তাই এন্টি-অক্সিডেন্ট সম্পর্কে ভালো করে জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

বিটা ক্যারোটিনঃ

বিটা-ক্যারোটিন একটি রঞ্জক পদার্থ যা গাজর, পেঁপে ইত্যাদি কমলা রঙের জন্য দায়ী। এছাড়া সবুজ শাকসবজিতেও এটা পাওয়া যায়। গবেষকরা দেখেছেন যে, নিয়মিত বিটাক্যারোটিন গ্রহণের ফলে হৃদরোগ, যেমন- হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, বাইপাস সার্জারি এমনকি মৃত্যুর হার অর্ধেক কমে গেছে আর ক্যান্সার প্রতিরোধে বিটা ক্যারোটিন এর জুড়ি নেই।
এছাড়া সমীক্ষায় এটাও প্রমাণিত হয়েছে যে, বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ খাবার যারা নিয়মিত খেয়ে থাকেন তাদের মধ্যে খুবই কম লোক ফুসফুস কিংবা অন্ত্রের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন। জাপানের একটি গবেষণার পর বলা হয় যে, হলুদ এবং সবুজ শাকসবজি যারা খেয়ে থাকেন তাদের মাঝে ক্যান্সারে মৃত্যুর ঝুঁকি ২৪ ভাগ কম। ফুসফুসের ক্যান্সারের ব্যাপারে আরেকটি তথ্য হলো ধূমপায়ীদের মাঝেও বিটা-ক্যারোটিন মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়।
তাহলে জানা গেল বিটা ক্যারোটিন বা ভিটামিন-এ নামের এন্টি-অক্সিডেন্ট এর গুণের কথা। খুব সহজেই কিন্তু আমরা নিয়মিত এটা পেতে পারি। তার জন্য দরকার শুধুমাত্র সচেতনতা। প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় রঙিন ফলমূল শাকসবজি রাখাটা তাই অত্যান্ত জরুরী।

ভিটামিন-ইঃ

ভিটামিন-ই মূলত হৃদরোগ প্রতিরোধ করে। ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে এর ভূমিকা কম। ধমনীতে চর্বি জমতে দেয় না ভিটামিন-ই। তাই নিয়মিত ভিটামিন-ই গ্রহণের ফলে হৃদরোগ এড়ানো সম্ভব। বাদাম, শসা, ভেজিটেবল অয়েল এগুলো থেকে আমরা ভিটামিন-ই পেতে পারি।

ভিটামিন-সিঃ

নানা ধরনের টক ফল যেমন- পেয়ারা, আমলকি, কমলালেবু, বাতাবি লেবু, সবুজ শাকসবজি ও কাঁচামরিচ থেকে ভিটামিন-সি পাওয়া যায়। হৃদরোগ ও ক্যান্সার এর ঝুঁকি কমায় এই এন্টি অক্সিডেন্ট। ফ্রিরেডিকেলস এর যে চেইন রিঅ্যাকশন এর কথা আগে বলা হয়েছে তা বন্ধ করে ভিটামিন-সি।
নিয়মিত সুষম ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের কথা আগেই বলা হয়েছে। কিন্তু সেটা সব সময় সম্ভবপর হয়ে ওঠে না। আরেকটি ব্যাপার হলো, প্রতিদিন কোন এন্টিঅক্সিডেন্ট কতটুকু প্রয়োজন আর কোন খাবারে কতটুকু ভিটামিন এ, সি ও ই আছে তা অংক করে খাওয়াটা বেশ জটিল। তাই সব সময় উপরোল্লেখিত সব ধরনের খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url